শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৬ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
আদালত অবমাননার মামলায় অধস্তন আদালতের বিচারক মো. সোহেল রানাকে জেল দেওয়ায় মর্মাহত হয়েছেন অধস্তন আদালতের বিচারকরা। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই মর্মাহতের বিষয়টি জানান অধস্তন আদালতের বিচারকদের সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিচারকরা আইনমন্ত্রীকে বলেন, আমরা বিচার বিভাগের সদস্য। সুপ্রিম কোর্ট আমাদের অভিভাবক। সংবিধান ও আইনের আলোকে বিচার কাজ করাই আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সময় আমাদের ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অভিভাবক হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট আমাদের ভুলভ্রান্তিগুলো নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করে সংশোধনের সুযোগ দেবেন সেটাই প্রত্যাশা করি, যাতে করে ভবিষ্যতে দায়িত্ব পালনে আমরা সচেষ্ট হতে পারি।
বৈঠকে উঠে আসা বিভিন্ন প্রস্তাব প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করা হবে বলে বিচারকদের আশ্বাস দেন আইনমন্ত্রী। বৈঠকে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, এসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এএইচএম হাবিবুর রহমান, মহাসচিব ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানসহ প্রমুখ বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, এদিন সকালে আদালত অবমাননার দায়ে সোহেলকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে তাকে সাত দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু ৩ ঘণ্টা পর দুপুরে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ তাকে ৩০ দিনের জন্য জামিন দেন।
সোহেল রানা বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে সংযুক্ত আছেন। উল্লেখ্য, কুমিল্লার একটি ফৌজদারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু বিচারক সোহেল রানা হাইকোর্টের ওই আদেশ অমান্য করে বিচার কাজ চালিয়ে যান। এ কারণে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেন ওই মামলার আসামি মামুন।